টাফনেস দরকারী

মানুষ টাফনেস এবং স্ট্রেংথকে এক মনে করে। এটা একটা ভুল। স্ট্রেংথ এক জিনিস আর টাফনেস আরেক জিনিস।

অনেক লোক দেখা যাবে মাসকুলার বডি, কিন্তু সে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে খালি পায়ে দৌড়ানোর মত মানসিক শক্তি রাখে না। হাতে গ্লাভস টাভস লাগিয়ে তার জিম করতে হয়।

এসব ক্ষেত্রে লোকটির স্ট্রেংথ আছে, মাসল আছে কিন্তু টাফনেস নেই।

কিন্তু অনেক মানুষ আছেন যারা জিম টিম করেন না, কিন্তু মারাত্মক টাফ।

টাফ হচ্ছে সেই জিনিস যা ফোর্স প্রযুক্ত হলে তথা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সহজে ভাঙে না।

শারীরিক, মানসিক সব ক্ষেত্রেই টাফনেস সবচাইতে দরকারী একটি জিনিস।

মানসিক ক্ষেত্রে বরং বেশী। কারণ মানুষকে স্ট্রেসের মধ্যে পড়তে হয়। একজন লেখক হয়ে ভালো সাহিত্য করলেও, পরিশ্রম করলেও প্রত্যাখানের ভেতর দিয়ে, স্বীকৃতিহীনতার ভেতর দিয়ে যেতে হতে পারে। এগুলি প্রতিকূল অবস্থা, এবং তা সহ্য করেও কাজ চালিয়ে যাবার জন্য দরকার টাফনেস।

টাফনেস কীভাবে বাড়ানো যায়?

টাফনেস বাড়াতে আমি কী জন্য কাজটা করছি অর্থাৎ শক্ত একটা মোটিভেশন দরকার। সাহিত্য করার পেছনে আমার যদি ব্যক্তিগত কোন শক্ত কারণ থাকে তাহলে বাইরের স্বীকৃতিহীনতা আমি সহ্য করেও আমার সাহিত্য করে যেতে পারবো।

মানসিক বা শারীরিক টাফনেসের জন্য প্রাচীন গ্রীসের স্টোয়িক দার্শনিকদের পদ্বতিও ব্যবহার করা যায়। ভলান্টারি ডিসকম্ফোর্ট। অর্থাৎ, ইচ্ছে করে নিজেকে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে ফেলে অভ্যাস করা। ধরেন, খালি পায়ে হাঁটা বা দৌড়ানো, প্রতিকূল অবস্থায় যন্ত্রপাতি ছাড়া এক্সারসাইজ, গ্লাভস পরিধান না করা ইত্যাদি।

গ্লাভস না পরলে হাতে ফোস্কা পড়বে, স্বাভাবিক। কিন্তু এটি দরকারী। এটি স্বাক্ষ্য দিবে আপনি কষ্টকর এক প্রসেসের ভেতর দিয়ে গেছেন জিমে। ফলে পরবর্তীতে অন্তত অবহেলায় জিম মিস হবে না।

মানসিক টাফনেস বাড়ানোর জন্য আরো নানা ক্রিয়েটিভ উপায় খুঁজে বের করতে পারেন একজন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *