যারা জিম করেন তাদের জন্য সবচাইতে প্রয়োজনীয় ম্যাক্রো-নিউট্রিয়েন্টস ধরা যায় প্রোটিন। কারণ প্রোটিনই মাসল ডেভলাপে কাজ করে। জিমে যে মাসল ফাইবার ভাঙ্গা হয় তা রিপেয়ার করতে দরকার হয় প্রোটিনের। কিন্তু কতো গ্রাম প্রোটিন লাগে একজনের, যিনি মাসল তৈরী করতে চান?
সাধারণ প্রচলিত কথা হলো ১ গ্রাম পার পাউন্ড ওজনের জন্য। অর্থাৎ ১৩০ পাউন্ড ওজন হলে ১৩০ গ্রাম প্রোটিন দরকার।
কেজির হিসাবে এটি হয় প্রতি কেজি ওজনে ২ গ্রাম প্রোটিন। অর্থাৎ ৬০ কেজি ওজন হলে ১৩০ গ্রাম প্রোটিন।
কিন্তু এই ধারণা ভুল। বেশী প্রোটিন খেলেই যে বেশী মাসল হবে এমন কোন কথা নেই।
এ পর্যন্ত যত রিসার্চ হয়েছে কতো গ্রাম প্রোটিন দরকার মাসল ডেভলাপের জন্য, সেইসব রিসার্চ নিয়ে স্টাডি করে দেখা গেছে, দিনে প্রতি কেজিতে ১.৬ গ্রাম প্রোটিনই যথেষ্ট। মেটা এনালাইসিস ও বিস্তারিত লেখা দেখতে পারেন এখানে।
প্রতি কেজিতে ১.৮ গ্রাম (পাউন্ডে ০.৮২ গ্রাম) এর বেশী প্রোটিন খেলে বাড়তি প্রোটিন মাসল ডেভলাপে কোন অবদানই রাখে না।
প্রতি কেজিতে ১.৬ গ্রাম কিন্তু খুব বেশী প্রোটিন না। আপনার ওজন ৬০ কেজি হলে মোট প্রোটিন দরকার পড়বে, ৬০ গুণ ১.৬ গ্রাম = ৯৬ গ্রাম।
তিনটি কুসুমসহ ডিমে আছে ১৮ গ্রাম প্রোটিন, তা আপনারা আগের একটি লেখায় জেনেছেন।
১ লিটার গরুর দুধে ৩২ গ্রাম প্রোটিন।
২০০ গ্রাম চিকেনে ৪৬ গ্রাম প্রোটিন।
এখানেই আপনার হয়ে যাচ্ছে, ১৮+৩২+৪৬ = ৯৬ গ্রাম প্রোটিন।
এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন প্রোটিন পাউডার( Whey Protein)তাহলে কেন লোকে খায়?
হোল ফুড থেকে প্রোটিন খাওয়া বিরক্তিকর হতে পারে, অনেক সময় সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই ব্যস্ততার মাঝে সহজে খাবার জন্যই লোকে পাউডার খান। কিন্তু পাউডার খান আর হোল ফুড থেকে খান, যেভাবেই খান না কেন, হিসাব করে খাবেন।
প্রতি কেজি ওজনে ১.৬ গ্রাম করে খেলেই চলবে, এবং কখনোই ১.৮ গ্রামের চাইতে বেশি নয়।
প্রোটিন কোম্পানিগুলি বেশী প্রোটিন খেতে বলতে পারে, দুই গ্রাম বা তারো বেশী করে। কারণ যত বেশী প্রোটিন খাবে লোকে তত তার বিক্রি বাড়বে।
বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী এতো বেশী প্রোটিনের দরকার নেই।
Type here.. আমি জীম করার পর কি খাব?