জিমে কীভাবে আগ্রহ ধরে রাখা যায়? দেখা যায় কিছু লোক প্রথম কয়েক সপ্তাহ পরেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
মানুষের একটি সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার আছে। তারা যেকোন সুখের বা দুঃখের অভিজ্ঞতার পিক পয়েন্ট তথা সর্বোচ্চ পয়েন্ট এবং শেষটা মনে রাখে। এর মাধ্যমেই তারা পুরো অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করে পরবর্তী সময়ে।
এটাকে বলে ইংরাজিতে পিক-এন্ড রুল। এই প্রবণতাটি জনপ্রিয় করেন বিহেভিওরাল ইকোনমিক্সের একজন ফাদার ফিগার ড্যানিয়েল কায়নেম্যান। কনসেপ্টটি তিনি ব্যাখ্যা করেন তার ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত পেপারে।
কায়নেম্যান আরো লক্ষ করেন যে, কতো সময় ধরে ঘটনাটি ঘটেছিল তা মানুষ মনে রাখে না। তিনি এর নাম দেন ডিউরেশন নেগলেক্ট।
সরাসরি জিমের ব্যাপারে এই পিক এন্ড রুল কাজ করে কি?
বিহেভিওরাল অর্থনীতিবিদ ড্যান আরিয়ালির একটি গবেষণা আমাদের সাহায্য করতে পারে এ ব্যাপারে। ২০১৬ সালে জার্নাল অব স্পোর্ট এন্ড এক্সারসাইজ সাইকোলজিতে এই গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। লেখক তিনজন Panteleimon Ekkekakis, Zachary Zenko এবং ড্যান আরিয়ালি।
সেখানে তারা দেখিয়েছেন যে যদি দিনের ব্যায়াম শেষ করার দিকের অভিজ্ঞতা সুখকর হয় তাহলে লোকেরা পুরো ব্যায়াম নিয়েই খুশি থাকে। এবং এই খুশি থাকা তথা পজেটিভ এক্সপেরিয়েন্স তাদের পরেরদিন জিমে আসতে সাহায্য করে।
সুতরাং এই রিসার্চ থেকে আমরা দিনের জিম অভিজ্ঞতাকে আনন্দদায়ক হিসেবে স্মৃতিতে রাখতেঃ
১। শেষদিকে কষ্টদায়ক এক্সারসাইজ থেকে বিরত থাকতে পারি।
২। একেবারে শক্তিহীন হয়ে এক্সারসাইজ শেষ করা থেকে বিরত থাকতে পারি।
৩। শেষের দিকে নিজের প্রিয় কোন এক্সারসাইজ করতে পারি।
এইভাবে আমরা জিমকে আনন্দায়ক অভিজ্ঞতা হিসেবে তৈরী করে নিতে পারি স্মৃতিতে। এটি পরবর্তী দিনে আমাদের আসতে সাহায্য করবে। জিমে আগ্রহ ধরে রাখার একটি ভালো উপায় হতে পারে এটি।
এবং কেবল জিম নয় অন্যক্ষেত্রেও এই পিক-এন্ড রুলের কথা মনে রাখা যেতে পারে। বিশেষত যারা কোন সার্ভিস ব্যবসা করে থাকেন, কাস্টমারদের নিয়ে কাজ করেন, তাদের কাজে লাগবে এই গুরুত্বপূর্ন ইনসাইট। তারা নিজেদের সেবাকে কাস্টমারের মনে ভালো একটা অভিজ্ঞতা হিসেবে রাখতে শেষদিকের সময়কে খুব সুন্দর করে দিতে পারেন।