ডিম

জিমের পরে পাউডার প্রোটিন না হোল ফুড প্রোটিন?

ওয়ার্ক আউট করার পরে একজন ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েন এবং তার খাদ্যের দরকার পরে। একটা থিওরী আছে ওয়ার্ক আউটের পরপরই প্রোটিন খেলে ভালো। এই সময়টার নাম দেয়া হয়েছে এনাবোলিক উইনডো। কিন্তু এর সপক্ষে শক্ত কোন রিসার্চ নেই।

সাধারণত ওয়ার্ক আউটের পর প্রায় ২৪ ঘন্টা, কারো কারো ক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টা ধরে ঐ মাসল ডেভলাপ হতে থাকে। তাই এই ২৪ ঘন্টার ভেতরে খাওয়া প্রোটিন মাসল ডেভলাপে কাজে লাগবে, আগের খাওয়া প্রোটিনদের সাথে সাথে। জিমের ঘন্টা দুয়েক আগে বিশ গ্রামের মতো প্রোটিন প্রি-ওয়ার্ক আউট মিল হিসেবে খেলে তাতেই মাসল ডেভলাপের কাজ চলবে। জিমের পরপরই প্রোটিন খেতে হবে এনাবোলিক উইনডোর সুবিধা নিতে, এ তত্ত্ব প্রমাণিত নয়। []

কিন্তু, যেহেতু একজন ব্যক্তি ক্ষুধার্ত থাকেন, তাই জিমের পরে তিনি অবশ্যই খাবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কোন ধরণের প্রোটিন বেশী কার্যকরী? প্রোটিন পাউডারের কেবল প্রোটিন না হোল ফুডের প্রোটিন, যেখানে প্রোটিনের সাথে ফ্যাট, ভিটামিন ইত্যাদিও থাকে?

সাম্প্রতিক এক রিসার্চ প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে। সেখানে বলা হয়েছে হোল ফুডের প্রোটিন মাসল বিল্ড আপের জন্য বেশী কার্যকরী। []

তারা দশজন ওয়েট ট্রেইনারকে নেন। তাদের দু’ভাগ করেন।

এক ভাগ লেগ ওয়ার্ক আউটের পাঁচ মিনিটের মধ্যে খান তিনটা কুসুমসহ ডিম, অর্থাৎ হোল ফুড প্রোটিন। তিনটা ডিমে প্রায় ১৮ গ্রাম প্রোটিন ও ১৭ গ্রাম ফ্যাট।

অন্য পাঁচ জন খান কেবল ডিমের শাদা অংশ থেকে ১৮ গ্রাম প্রোটিন। এই অংশে কেবল প্রোটিন থাকে।

দেখা গেছে, যারা হোল ফুড নিয়েছেন অর্থাৎ কুসুমসহ পুরো ডিম তাদের মাসল বেশী ডেভলাপ হয়েছে।

কুসুমসহ ডিমের কুসুমে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ভালো ফ্যাট এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে।

রিসার্চার নিকোলাস বার্ড, পিএইচডি বলছেন, এগুলি ওয়ার্ক আউটের পর মাসল ফাইবার রিপেয়ার ও রিকভারিতে হয়ত সাহায্য করে থাকে।

এই রিসার্চ বলে যে, জিমের পর সবচাইতে ভালো হলো তিনটা ডিমের প্রোটিন বা হোল ফুড প্রোটিন। যেখানে ফ্যাটসহ অন্যান্য উপাদান থাকবে।

এবং ডিম তুলনামূলক স্বস্তা।

1 thought on “জিমের পরে পাউডার প্রোটিন না হোল ফুড প্রোটিন?”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *